December 22, 2024, 8:48 am

সংবাদ শিরোনাম
পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, পুলিশ ও জনগণ একে অন্যের পরিপূরক-রেজাউল করিম মল্লিক দলের পরিবর্তন হয়েছে চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম আপনারা শান্তিতে থাকুন আমরা চাই,আমাদেরকেও আপনারা শান্তিতে থাকতে দিন- ডা. শফিকুর রহমান যশোরে গাছের সাথে বাসের ধাক্কায় নিহত ১ পার্বতীপুরে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত বাংলাভিশন ডিজিটালের নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে নাবিলের অপপ্রচারের প্রতিবাদ হিলিতে বিজিবি দিবসে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার বিজিবির কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে আওয়ামী লীগের নেতা গ্রেপ্তার পটুয়াখালীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৬ গভীর রাতে আশ্রায়ন প্রকল্পের শীতার্তদের পাশে হাকিমপুরের ইউএনও অমিত রায়

ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা নিরাপদ হোক

ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা নিরাপদ হোক


আর কয়েক দিন পরেই মানুষ ঈদের ছুটিতে ঘরে ফিরতে শুরু করবে। তাদের ঘরে ফেরা নিরাপদ করতে রাস্ত্মার নিরাপত্তা কঠোরভাবে নিতে হবে। সারাদেশের রাস্ত্মা ঘাট এখনো যে অসম্পূর্ণ রয়েছে, তা ঈদের আগেই শেষ করা দরকার। বাংলাদেশে বহু রাস্ত্মা এখনো উন্নয়ন কাজের কারণে খোঁড়াখুঁড়িতে ব্যস্ত্ম আছে। এসব কারণে যাত্রীদের যাতায়াত বিঘিœত হবে। ট্রেনের টিকেট প্রতি বছর বিশেষ বিশেষ সময়ে কালো বাজারিদের হাতে চলে যায়। ফলে যাত্রীদের ভোগান্ত্মি ও ক্ষোভ বেড়ে যায়। সড়কে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ঈদের ছুটিতে শহর থেকে গ্রামে ফিরা মানুষগুলো পথে পথে বিড়ম্বনা আর ভোগান্ত্মিতে পড়ে। কিছুকিছু ভোগান্ত্মি সহ্য করার মতো মানসিকভাবে তারা প্রস্ত্মুত থাকে। অনেক সময় এ ভোগান্ত্মির সীমা থাকে না। সড়ক, রেল, নৌপথ সব পথে একই অবস্থা। দুর্ঘটনায় হতাহত হওয়ার ঝুঁকি সবসময় থাকে। ঈদ আসলে অনেক কথাবার্তা প্রতিশ্রম্নতি সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়। পরিবহন মালিকরাও অঙ্গীকার করে যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করে। নিয়ম মেনে যাত্রী সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দেয় কিন্তু বাস্ত্মবে তার কিঞ্চিৎও রাস্ত্মায় মেলে না। তাদের অনিয়ম আর অঙ্গীকার ভঙ্গের কোনো আইনি ব্যবস্থাও দেখা যায় না। দেশের বেশিরভাগ মানুষ সড়ক পথেই চলাচল করে থাকে। এরপর রেল ও নৌপথে। ফলে রাস্ত্মার ওপর চাপও বেশি থাকে। কিন্তু সড়ক ও মহাসড়ক বেহাল। উন্নয়ন কর্মকা-ে দেশের অনেক সড়ক ও রাস্ত্মা খোঁড়াখুঁড়িতে দেখা যাচ্ছে। ঈদের যাত্রা যখন শুরু হবে তখন কী পরিমাণ জনভোগান্ত্মি সড়কে হবে তা আগেভাগেই অনুমান করা যাচ্ছে। যেসব সড়কে কাজ হচ্ছে তা যে ঈদের আগেই সংস্কার কাজ শেষ হবে তা প্রায়ই অসম্ভব। নৌপথেও ভোগান্ত্মির সীমা নেই। অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মে ভরপুর। ঈদের পূর্বে ভোগান্ত্মি লাগবে নানা প্রতিশ্রম্নতির আশ্বাস দেয়া হলেও বাস্ত্মবে রাজধানী থেকে নৌপথে চলাচলকারীদের বিড়ম্বনা শুরু হয় সদর ঘাটে। এখানে তখন দেখা যায় দালাল চক্র। কালোবাজারিতে টিকিট মিলে। ছিনতাইকারীদের উৎপাত বেড়ে যায়। সদরঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চলাচল করে। এ সময় পুরনো লঞ্চ স্টিমার রং করে চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয় এবং অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানো হয়। নৌপথে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা সড়ক ও রেল পথের চেয়েও অতি ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু কে কার কথা শুনে। ইচ্ছেমতো ভাবে পরিবহন মালিকরা সড়ক নৌপথে যাত্রী সেবার নামে যাত্রীদের হয়রানি করে। পরিবহন মালিক শ্রমিকদের অতি লোভের কারণে ঈদের সময় ঘরমুখী মানুষদের ভোগান্ত্মির সাথে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। প্রতি বছর এ সময় অনেক প্রাণ ঝরে রাস্ত্মায়। তখন ঈদের আনন্দ ম্স্নান হয়ে যায়। এ ধরনের অব্যবস্থাপনাকে রেখে ঈদ উপলক্ষে চলাচল শুরু হলে যাত্রীদের কী অবস্থা হবে তা বলা মুশকিল। সড়কমন্ত্রী সড়কের অবস্থা দেখার জন্য প্রতিদিন কোনো না কোনো জায়গায় ছুটে যেতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু যে অবস্থা হয়েছে তা সহজেই ঠিক হবে বলে মনে হয় না। অনেক জায়গায় দেখা যায় সড়ক পথের অনেক স্থানে সংযোগ হিসেবে থাকে না পথ। দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হলো দৌলতদিয়া, পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া কাঁঠালবাড়ী। সড়কের ভোগান্ত্মি তো রয়েছে সাথে এ দুই রোটের অব্যবস্থাপনা অসহনীয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসব ঘাটে যাত্রীদের ভোগান্ত্মি পেতে হয়। ফেরি পারাপরেও ট্রাফিকদের অব্যবস্থাপনা দেখা যায়। এখানে যথেষ্ট পরিমাণ সমন্বয়হীনতা ও অব্যবস্থাপনা রয়েছে। ঈদযাত্রা আনন্দ যাত্রা হলেও শেষ পযর্ন্ত্ম নানা ভোগান্ত্মির কারণে সে আনন্দ আর থাকে না। দীর্ঘ মেয়াদি ও সুচিন্ত্মিত পরিকল্পনা ব্যবস্থাপনা নেই বলেই এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিবহন মালিকদের সেবা দেয়ার চেয়ে আয়ের চিন্ত্মা বেশি থাকে। তাই বলে ঈদ যাত্রায় ভোগান্ত্মির মাত্রা বেশি হয়ে যায়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের টিকিট কালোবাজারি ও দুষ্কৃতকারীদের নিয়ন্ত্রণ করার চেয়ে পকেট ভরার দিকে নজর বেশি থাকে। তখন দালালদের উৎপাতও বেড়ে যায়। দেশের প্রতিটি সড়কেই কতিপয় গণপরিবহন স্পেশাল সার্ভিসের নামে গলা কাঁটা অর্থ আদায় করে থাকে। নিয়মের চেয়ে অধিক হারে বিভিন্ন সড়কে এ ধরনের অতিরিক্ত ভাড়া নিতে দেখা যায়। বৃহত্তর চট্টগ্রামে সবগুলো সড়কেই ঈদ আসলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে যাত্রীদের থেকে। বিশেষ করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালি, চকরিয়া, কক্সবাজার, টেকনাফ সড়কে আজেবাজে নামের পরিবহনের তখন আধিক্য দেখা যায়। মালিক শ্রমিক প্রশাসনের যোগ সাজসে এসব পরিবহন দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করতে দ্বিধাবোধ করে না। যাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার নিত্য নৈমত্তিক কথা। এসবের মধ্যেও ঈদমুখী যাত্রীদের ঘরে তো যেতেই হবে। কিন্তু বছরকে বছর ঈদের আগে প্রশাসনের প্রতিশ্রম্নতির কথা থাকলেও বাস্ত্মবে সড়কে যাত্রীগণ তা দেখেন না। যথাযথ পরিকল্পনা সমন্বয় আর কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা থাকলে সত্যিই আনন্দময় আবহ তৈল হতে পারে ঈদের সময়। সংশিস্নষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ঈদে ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাত্রায় আগেভাগেই পরিকল্পনা থাকা চাই।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর